পত্রিকায় প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি প্রসঙ্গে জবি শিক্ষক নাসির!
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বিভিন্ন দৈনিকে প্রচারিত একটি বিজ্ঞাপণ বিজ্ঞপ্তি দেখে আমি বিস্মিত হয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি চলমান বিষয় নিয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছেন।
একদিকে পত্রিকান্তরে প্রকাশিত ভিসি পক্ষের শিক্ষকদের সক্রিয় তৎপরতা অপরপক্ষে দ্রুততার সাথে বিভাগের ওয়েবসাইট থেকে আমার নাম মূছে ফেলার প্রবণতা একান্তই বিদ্বেষপ্রসূত। আমি সুবিচার পাইনি বলে ইতোমধ্যে সিণ্ডিকেট সভাপতি বরাবর সাতাত্তরতম সিণ্ডিকেটের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন করার পর এহেন তৎপরতা আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টা বলে আমি মনে করি।
তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে বিচার শেষ করার ঘোষণা দিলেও কর্তৃপক্ষ আমার কোন প্রকাশনা চীনের আর্টিকেল এর সাথে সম্পর্কিত তা আজ অবধি আমাকে জানাতে পারেনি। বার বার অপ্রকাশিত ও প্রত্যাহারকৃত লিখা বিচারে এনে চাকুরীচ্যুতির মতো নজীরবিহীন সিদ্ধান্ত কিসের ইঙ্গিত বহন করে তা সকলের কাছে স্পষ্ট।
আমি মনে করি পত্র পত্রিকায় বিজ্ঞাপনের পিছনে এভাবে অহেতুক অর্থ ব্যয় না করে ঐ অর্থে নকল পরীক্ষার সফটওয়্যার আমার সহকর্মীদের ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করলে অহেতুক এই ধরণের অপমানজনক প্রক্রিয়া থেকে আমার সহকর্মী গবেষকরা আগামীতে আত্মরক্ষার সুযোগ পাবেন। আমি একাধারে ইংরেজি বিভাগের চেয়ারম্যান, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক, ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ সেন্টারের পরিচালক, ক্যান্টিন সংস্কার কমিটির আহ্বায়ক, চারবার জবি শিক্ষক সমিতিতে নির্বাচিত প্রতিনিধি,দুবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নীল দলের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ছাড়াও অনেক গুরুদায়িত্ব পালন করেছি। আমি মনে করি আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার এ অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকাই হবে সকল পক্ষের জন্য মঙ্গলজনক।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় বা তার কোন শিক্ষককে দেশের মানুষের কাছে ছোট করার মধ্যে অবশ্যই কোনো অহেতুক সার্থকতার সন্ধান অমূলক।
নাসির উদ্দিন আহমদ (সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)
Comments
Post a Comment