সর্বশেষ আপডেট



জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস চালু করার আগেই বিক্ষোভকারী ফিলিস্তিনিদের উপর ইসরাইলী সেনারা বর্বরভাবে গুলি চালিয়েছে।এই অমানবিক ও পৈশাচিক হামলায় আল জাজিরার তথ্য অনুযায়ী এই পর্যন্ত ৩৭ জন ফিলিস্তিনি শহীদ হয়েছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
গুরুতর আহত হয়েছেন আরো ১৬৯৩ জন। আহতদের মধ্যে ৭৪ জনের বয়স ১৮ বছরেরও কম, মহিলা আছেন ২৩ জন আর সাংবাদিক আছেন ৮ জন।

আজ বিশ্ব মুসলিমের জন্য অত্যন্ত শোকাবহ একটি দিন।  আর কিছু সময় পর, জায়নবাদী ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে জেরুজালেমকে স্বীকৃতি দেয়ার অংশ হিসেবে মাকির্ন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসটি তেলআবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করা হবে।  বিশ্ব নেতৃবৃন্দের তীব্র আপত্তির মুখে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই অনুষ্ঠানে যোগ না দিলেও তার কন্যা এবং এই মুহুর্তে আমেরিকার সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী ইভাংকা ট্রাম্প ইতোমধ্যেই ইসরাইলে পৌছেছেন।

১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর বালফোর ডিক্লেরেশনের মাধ্যমে ইসরাইল নামক যে ইহুদী রাষ্ট্রের বীজ বোপন শুরু হয়, ১৯৪৮ সালে ইসরাইলের ফিলিস্তিন দখলের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়ন হয়। ১৯৬৬-৬৭ সালের যুদ্ধে আরব জাতীয়তাবাদী শক্তি ইসরাইলের কাছে পরাজয় বরন করার মধ্য দিয়ে এই ষড়যন্ত্রের ষোলঅানা সফলতা দেখা দেয়। তখন অনেকের কাছে হয়তো এটা নিছক ধারনার বিষয় ছিল যে জেরুজালেমকে ইসরাইল কখনো তার একক রাজধানী হিসেবে পেয়ে যাবে। কিন্তু সেটা এখন বাস্তব হওয়ার পথে।

আজ অসংখ্য নবী আর সাহাবীদের স্মৃতি বিজড়িত জেরুজালেম ও বায়তুল মাকদিস মুসলমানদের হাতছাড়া হওয়ার পথে।  এই জন্য জায়নবাদী ও পশ্চিমা ষড়যন্ত্র যেমন দায়ী, ঠিক তেমনি মুসলমানদের দায়ও খুব কম নয়।

আমরা মুসলমানেরা জেরুজালেম ও বায়তুল মাকদিস সংকটকে বরাবরই ফিলিস্তিনের নিজস্ব ইস্যু বলেই মনে করি।
আজ এতবড় লজ্জাজনক পরিনতি ঘটতে যাচ্ছে কয়জন মুসলমানই বা এই বিষয়টা নিয়ে অবগত।  কয়জনই বা উদ্বিগ্ন?
পশ্চিমা দেশের কথা বাদই দিলাম, মুসলমান দেশে যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে, যাতে অসংখ্য মুসলমান ছাত্রছাত্রী পড়াশুনা করছে, জ্ঞানের সবক নিচ্ছে এবং দিচ্ছে তাদের মাঝেও কয়জনই বা এই বিষয়ে কোন ভুমিকা রাখছেন বা রাখতে পারছেন? এত এত জ্ঞান দিয়ে তাহলে আমরা কি করিবো??

আমরা মুসলমানরা এখন এতটা অক্ষম যে নিজেদের ছিদ্রান্বেষনে পুরোটা সময় ব্যস্ত হয়ে আছি, অথচ উড়ে এসে জুড়ে বসে ইসরাইল আমাদের প্রানের স্পন্দন বায়তুল মাকদিসকে, জেরুজালেমকে প্রকাশ্য দিবালোকে কেড়ে নিয়ে যাচ্ছে।

ফিলিস্তিনি বীর যোদ্ধার পা নেই, হাতে কোন মারনাস্ত্র নেই, তথাপি গুলতি ছুড়ে হলেও সে ইসরাইলী দখলদারিত্বের প্রতিবাদ করছে। অথচ আফসোস, আমাদের হাত পা সবই আছে, চিন্তা করার বুদ্ধিও আছে, তথাপি আমরা নিরব, নিথর।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আমাদের ক্ষমা করুন।  বায়তুল মাকদিসের কথা মনে হলে আমার বুক ফেটে কান্না আসে।  আল্লাহ আমাদের অক্ষমতাকে মাফ করে আমাদের এই প্রিয় হারাম শরীফকে আবার যেন মুসলমানদের হাতে ফিরিয়ে দিন। মাজলুমদের বিজয় দান করুন।

Comments

Popular posts from this blog

ওহাবী কওমী মাদরাসার ত্রিশালে "মাদ্রাসা শিক্ষকের যৌন হয়রানির ঘটনায় স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা"শিক্ষক গ্রেফতার "

যে নাম গুলো ইসলামে হারাম, ভুলেও আপনার সন্তানের এই নাম গুলো রাখবেন না

দৌলতপুরে মাদক ব্যবসায়ী টুটুল ইয়াবা সহ আটক